শেষ টি টুয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৭৪ রানে ২-১ সিরিজ শেষ করলো বাংলাদেশ। পাঁচ টা প্লেয়ার চেঞ্জ করলে কিছু টা খারাপ খেলতেই পারে দল। অন্তত বুঝা গেল দলটায় কোন প্লেয়ার গুলো থাকার যোগ্য না। পর পর দুই টি টুয়েন্টি সিরিজ জয়।
তৃতীয় ও শেষ টি টুয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ কে ১৭৯ রানে টার্গেট দিয়েছে পাকিস্তান। বোলিংয়ে তাসকিন তিন উইকেট নেন। নাসুম বল হাতে ভালো করেছে ২২ রানে নিয়েছেন দুই উইকেট। একটি করে নেন সাইফুদ্দিন ও শরিফুল।
জাকের অভিষেকের পর থেকেই তিন ফরম্যাটেই দলে হয় ব্যাট হাতে কন্টিবিউট করছে। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি টুয়েন্টি তে ৪৮ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। এটা ছিলো তার তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি। জাকেরের এখনও সমস্যা আছে স্পিনে এখনও সিঙ্গেল বের করতে পারে না। এগুলা যখন ২০০ রানে টার্গেট দিবে তখন বুঝা যাবে সিঙ্গেলের ভ্যালু।
থ্রিলার ম্যাচে পাকিস্তান কে ৮ রানে হারিয়ে টি টুয়েন্টি সিরিজ জয় বাংলাদেশের। বোলিংয়ে শরিফুল তিন উইকেট নেন। দুই উইকেট করে নেন মাহেদি এবং সাকিব। একটি করে নেন রিশাদ এবং মুস্তাফিজ। রিশাদ বেশিদিন জাতীয় দলে টিকবে না এখন গুগলি করতে পারে না একটা। টেইলএন্ডাররা আইসা পিডায়।
দ্বিতীয় টি টুয়েন্টি ম্যাচে জাকের আলীর হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে পাকিস্তান কে ১৩৪ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ। মাহেদি ব্যাট হাতে ভালো করেছে এই পিচে করেছেন ২৫ বলে ৩৩ রান। কেন জানি ১৫ রান শর্ট মনে হচ্ছে লাস্টের দিকে ব্যাটার গুলো আরেকটু সময় নিতে পারতো।
বাংলাদেশের ওপেনার রা একটা টার্ম ধরে রেখেছে। দুজন একসাথে খুবই কমই ব্যার্থ হচ্ছে একজন ব্যার্থ হলে অপর জন ভালো খেলছে এভাবেই চলছে। আবার দুজনই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে পারে যেটা পজেটিভ। ইমন দুইটা হাফ সেঞ্চুরি করেছে টি টুয়েন্টিতে দুইটাই পাকিস্তানের বিপক্ষে আজকের ম্যাচ টা ঠান্ডা মাথায় খেলেছে। দুইটা অপেনারেরই স্পিনের বিপক্ষে ভালো খেলতে হবে নাহলে মিডেল ওভারে আসলে চাপে পড়ে যাবে।
প্রথম টি টুয়েন্টি তে বাংলাদেশ কে ১১১ রানের টার্গেট দিলো পাকিস্তান। সবাই জানে মিরপুরের পিচ হাই স্কোরিং না পাকিস্তানি ব্যাটার রা বেশি শর্ট খেলেছে সাথে রান আউট নাহলে ১৪০-১৫০ আরামসে হয়ে যেত। বোলিংয়ে তাসকিন তিন উইকেট। মুস্তাফিজ দুই উইকেট। একটি করে নেন মাহেদি এবং সাকিব।
তানজিদকে নিয়ে কথা বলতে গেলে ওর খেলার ধরনটা একটু আলাদা। ও গতানুগতিক স্পিনারদের বিপক্ষে শুধু ডিফেন্স করে যাবে, এমন নয়। তানজিদ আসলে স্পিনের বিপক্ষে দ্রুত রান বের করার এবিলিটি রাখে। স্পিনের বিপক্ষে ওর হিটিং এবিলটি ভালো। ওয়ানডে খেলতে গেলে স্পিনারদের বিপক্ষে আরো ভালো খেলতে হবে। তানজিম পাওয়ার প্লে টিকে গেলে রান বের করবেই। এটা পজিটিভ দিক। বাংলাদেশের কতজন ব্যাটার জায়গায় দাড়িয়ে ক্লিন হিটে সিক্স মেরেছে আমি জানি না।
তৃতীয় টি টুয়েন্টি তে বাংলাদেশ কে ১৩৩ রানের টার্গেট দিয়েছে শ্রীলংকা। মাহেদির বোলিংয়ের সামনে লংকার টপ এবং মিডেলের কোন ব্যাটার দাঁড়াতে পারে নি। মাহেদি একাই নেন চার উইকেট। এত জঘন্য বোলিং শরিফুলের লাস্ট ওভারে কি বলবো এদের।
শ্রীলংকার বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে একাদশে সুযোগ পেয়েই শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইন আপ একাই ধসিয়ে দিলেন মাহেদী হাসান। চার ওভার বোলিং করে এক মেইডেন দিয়ে ১১ রানে নিয়েছেন চার উইকেট। আজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্ট ম্যাচে দশম অস্ট্রেলিয়ান বোলার হিসেবে হ্যাট্টিক করেছেন Scott Boland। আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে ৪৬তম প্লেয়ার হিসবে এই রেকর্ড করেন।